বাঙালী মুসলিমের এত ব্যর্থতা কেন? |
|
|
|
Written by ফিরোজ মাহবুব কামাল
|
Wednesday, 05 March 2014 21:36 |
মূল রোগটি কী?
অসুস্থ্য দেহে নানা রূপ রোগভোগ ও ব্যাথা-বেদনা থাকে।শুধু দুর্ভোগ ও যাতনাই নয়,কোন কোন ব্যাধি দ্রুত প্রাণনাশও ঘটায়।অসুস্থ্য জনগোষ্ঠির জীবনেও তেমনি দ্রুত ধ্বংস বা বিপর্যয় ডেকে আনে কিছু গুরুতর সামাজিক ব্যাধি।ডেকে আনে মহান আল্লাহর গজবও।সে ধ্বংস বা গজব থেকে বাঁচতে হলে চিকিৎস্যকদের ন্যায় রাষ্ট্রনায়কদের দায়িত্ব হলো জাতিধ্বংসী সে মূল রোগটিকে দ্রুত সনাক্ত করা ও চিকিৎসা করা। প্রশ্ন হলো,বাঙালী মুসলমানের জীবনে সে মূল রোগটি কি? ক্যান্সার নানারূপ লক্ষণ নিয়ে হাজির হয়।এ রোগে যেমন ক্ষুধা লোপ পায়,তেমনি শক্তি ও ওজনও কমতে থাকে।শরীরে লাগাতর ব্যথা-বেদনাও দেখা দেয়।তবে মূল রোগটি ব্যাথা-বেদনা,ওজনহ্রাস বা শক্তিহানি নয়,বরং সেটি হলো ক্যান্সার।ফলে ব্যাথা-বেদনা,ওজনহ্রাস বা শক্তিহানি সারাতে হলে ক্যান্সারের চিকিৎসায় হাত দিতে হয়।তেমনি অসুস্থ্য জাতির জীবনেও মিথ্যাচার,ব্যাভিচার,দুর্বৃত্তি,সন্ত্রাস,খুন-গুম,লুটতরাজ ও নানারূপ কুকর্মগুলো মূল রোগ নয়,বরং সেগুলি হলো মূল রোগের উপসর্গ। মূল রোগটি হলো জ্ঞানহীনতা।ইসলামের পরিভাষায় এটি জাহেলিয়াত।
|
Last Updated on Thursday, 06 March 2014 19:14 |
Read more...
|
|
ইসলামের শত্রুপক্ষের একাত্তরের অপরাধ |
|
|
|
Written by ফিরোজ মাহবুব কামাল
|
Wednesday, 01 January 2014 14:27 |
কারা শত্রুপক্ষ এবং কি তাদের এজেন্ডা?
ইসলাম কোন কালেই শত্রুমুক্ত ছিল না।নির্মূলকামী শত্রুপক্ষ যেমন নবীজী (সাঃ)র যুগে ছিল, তেমনি তাঁর পূর্বে এবং পরেও ছিল। সে শত্রুপক্ষটি বাংলাদেশে উনিশ শ’ সাতচল্লিশে যেমন ছিল, তেমনি একাত্তরেও ছিল। এবং আজও আছে। বরং বাংলাদেশ তো তাদের হাতেই আজ অধিকৃত। একাত্তরে তাদের নাশকতা ছিল বিশাল। ইসলামের শত্রু তো তারাই যারা শরিয়তের প্রতিষ্ঠা ও ইসলামের বিজয় রুখতে চায়। যারা শক্তিহানি ঘটায় মুসলিম রাষ্ট্রের।এবং যারা নির্মূল চায় ইসলামপন্থিদের।ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে নাশকতায় যুগে যুগে এরাই মিত্রতা গড়েছে চিহ্নিত কাফেরশক্তির সাথে। ইসলামের এ শত্রুপক্ষটি ইসলাম ও ইসলামপন্থিদের নির্মূলটি যে শুধু মনে মনে কামনা করে বা তাদের কর্মকে কথা ও লেখার মধ্যে সীমিত রাখে -তা নয়। বরং ইসলাম ও ইসলামপন্থিদের নির্মূলে তারা সর্বপ্রকার শক্তি ও সামর্থের বিনিয়োগও করে। মুসলিম রাষ্ট্রের বিভক্তি ও বিধ্বংসে তারা যুদ্ধেও নামে। সেসব যুদ্ধে তারা সর্বজাতের কাফের, মুশরিক, ফাসেক ও নাস্তিকদের সাথে কোয়ালিশনও গড়ে। সে কোয়ালিশনটি যেমন নবীর যুগে ছিল, তেমনি সাতচল্লিশে ও একাত্তরেও ছিল। এবং আজও তা রয়েছে।
|
Last Updated on Friday, 28 February 2014 21:36 |
Read more...
|
বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্বৃত্তি |
|
|
|
Written by ফিরোজ মাহবুব কামাল
|
Thursday, 05 August 2010 19:03 |
চরিত্রহীনতা বা দুর্বৃত্তি শুধু চুরি-ডাকাতি, সন্ত্রাস, ঘুষখোরি, মদখোরি বা ব্যাভিচার নয়। সবচেয়ে বড় চরিত্রহীনতা বা দুর্বৃত্তি হলো মিথ্যাচার। বুদ্ধিজীবীদের ক্ষেত্রে সেটি যেমন হয় কথায় তেমনি হয় তাদের লেখনিতে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে যেমন তার মগজ, জাতির ক্ষেত্রে তেমনি হলো বুদ্ধিজীবীরা। মগজ অসুস্থ্য হলে দেহের বল বা সুস্থ্যতা কোন কাজে লাগে না। তেমনি একটি দেশের বুদ্ধিজীবীগণ দুর্বৃত্ত হলে বা পথভ্রষ্ট হলে সেদেশের কৃষি-সম্পদ,খনিজ সম্পদ,শিল্প বা কলকারখানা সে জাতির জন্য কোন খ্যাতি, সম্মান বা সফলতা বয়ে আনে না। বরং তাদের কারণে জাতির জীবনে বাড়ে পথভ্রষ্টতা। এমন মিথ্যাচারী বুদ্ধিজীবীদের কারণেই দুর্বৃত্তি ছেয়ে গেছে বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তির ময়দানে। মিথ্যাচার ও দূর্নীতি পরিণত হয়েছে সংস্কৃতির উপাদানে।
|
Last Updated on Sunday, 21 January 2018 15:14 |
Read more...
|
|
বাঙালী হিন্দুর রেনেসাঁ ও নাশকতা |
|
|
|
Written by ফিরোজ মাহবুব কামাল
|
Sunday, 20 March 2011 23:32 |
রেনাসাঁ না আত্মঘাত
বাংলার হিন্দুদের মাঝে যেমন জাগরন এসেছে, তেমনি প্রচন্ড আত্মঘাত এবং নাশকতাও এসেছে। বাঙালী হিন্দুরা তাদের এ জাগরনকে বলে বাঙালীর রেনেসাঁ। কিন্তু সে রেনেসাঁ কি সমগ্র বাঙালীর? তাদের আত্মঘাতটি এসেছে জাগরণের ঠিক পরপরই। এবং তাদের হাত দিয়ে নাশকতাটি ঘটেছে এবং এখনও ঘটছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালী মুসলমানদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরম্পরা দেখে মনে হয়, জাগরনটি যেন এসেছিল তাদেরকে আত্মঘাতের দিকে দ্রুত ঠেলে দেবার জন্যই। বাঙালী হিন্দুর সে আত্মঘাতটি ষোল কলায় পূর্ণ হয় ১৯৪৭ সালে বাংলার দেহ খন্ডিত করার মধ্য দিয়ে। ফলে বাংলা নিয়ে বাঙালী হিন্দুদের যে বিশাল স্বপ্ন ছিল তা যেন হটাৎ মারা যায়। ফলে ইউরোপীয় রেনেসাঁ যেমন ইউরোপীয়দের শিক্ষা, শিল্প, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে লাগাতর উন্নয়ন আনে এবং তাদেরকে বিশ্বশক্তিতে পরিনত করে, বাঙালী হিন্দুর জীবনে সেটি ঘটেনি। কিছুটা বেড়ে উঠার পর তাদের বেড়ে উঠাটি হঠাৎ থেমে যায়। বিশ্বমাঝে দূরে থাক, এমনকি ভারতীয় রাজনীতি, অর্থনীতি ও শিক্ষা-সংস্কৃতিতেও তারা গুরুত্বপূর্ণ শক্তিও হতে পারেনি।
|
Last Updated on Sunday, 24 March 2013 16:13 |
Read more...
|
Written by ফিরোজ মাহবুব কামাল
|
Saturday, 23 January 2010 22:49 |
ভাষা-আন্দোলনের লক্ষ্য শুধু রাষ্ট্রভাষা রূপে বাংলার স্বীকৃতি লাভ ছিল না। বরং পাকিস্তান এবং যে প্যান-ইসলামী চেতনার ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল তার বিনাশ এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা। পাকিস্তান খন্ডিত হয়েছে, বাংলাদেশও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ইসলামি চেতনা বিনাশের কাজ এখনও শেষ হয়নি, তাই শেষ হয়নি ভাষা আন্দোলনের নামে বাঙালীর চেতনা জগতে সেকুলার ধারার সাংস্কৃতিক ও আদর্শিক বিপ্লবের কাজ। ভাষা আন্দোলনের নাশকতা এখানেই। ভাষা আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের দাবী,ভাষা আন্দোলন না হলে বাঙালী জাতিয়তাবাদ কখনই এতটা প্রচন্ডতা পেত না এবং বাংলাদেশও সৃষ্টি হতো না। তাদের এ যুক্তি অস্বীকারের উপায় নেই। তাই ১৯৪৭ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের কল্যাণচিন্তা, ইসলামের প্রতিষ্ঠা ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শক্তিরূপে মুসলমানদের আবার উত্থান -এসব নানা স্বপ্ন মাথায় নিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল। ভাষা-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সে স্বপ্নেরই মৃত্যু হয়েছে। তবে সে স্বপ্নের বিনাশই ভাষা-আন্দোলনের একমাত্র নাশকতা নয়, এখন সে আন্দোলনের সেকুলার চেতনাকে লাগাতর ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশে ইসলামী চেতনার উত্থান রোধের কাজে।
|
Last Updated on Tuesday, 22 February 2011 19:36 |
Read more...
|
|
|
|
<< Start < Prev 1 2 Next > End >>
|
Page 1 of 2 |
Alhamdulillah. I get motivation and knowledge from your article. Pls keep up with the good work. Amirul Isalm